Business Idea: তাজ্জব লাগলেও সত্যি!লাল চন্দন গাছের চেয়েও বেশি আয়, এই গাছের ব্যবসায় অবিশ্বাস্য মিলবে লাভ
লাল চন্দন গাছের চেয়েও বেশি আয়
বর্তমানে চাকরির হল খুবই খারাপ। চাকরি করে যে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে তাতে ঠিকভাবে সংসারই চলছে না। তাই মানুষ চাকরি ছেড়ে ব্যবসার (Business) দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। ব্যবসা একটি বড় সমস্যা হলো পুঁজি। অনেকেই পুঁজির কারণে ব্যাবসা থেকে পিছিয়ে আসেন। তবে আজ এমন এক ব্যাবসা সম্পর্কে জানাবো, যা স্বল্প পুঁজি (Low Investment) দিয়েই শুরু করতে পারবেন। ব্যবসাটি করে আপনি বেশ লাভবান হবেন। চলুন এই ব্যবসাটি সম্পর্কে জেনে নিন।
আজ কথা বলবো, বাঁশ গাছ চাষ (Cultivation Of Bamboo Trees) সম্পর্কে। এই ব্যাবসা স্বল্প সময়েই শুরু করা যায় এবং এর ফল পাবেন টানা ৪০ বছর। অনেকেই জানেন না বাঁশ গাছ একবার বসালে ৪০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এই গাছ সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে খরচ কম। যদি কোনো ব্যক্তির বয়স ৩০ হয় এবং এই বয়সে এই চাষ শুরু করেন। তবে ওই ব্যক্তি ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত ফল পাবেন।
বাঁশ গাছ বড় হতে সময় লাগে প্রায় ৩-৪ বছর। এক হেক্টর জায়গায় প্রায় ১৫০০ বাঁশ গাছ লাগাতে পারবেন। এই বাঁশ গাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ১৪০০ প্রজাতির বাঁশ গাছ রয়েছে। একটি গাছের দাম ২৪০ টাকা। এক্ষেত্রে সরকারের ঘর থেকেও কিছু ভর্তুকি পাওয়া যায়। সরকার এ ক্ষেত্রে প্রায় ৫০% ভর্তুকি দেয়। হিসাব করলে দাঁড়াবে একটি বাঁশ গাছ কিনতে খরচ ১২০। অর্থাৎ এক হেক্টরে খরচ হবে ১.৮০ লক্ষ টাকা। গাছ বড় হলে এক হেক্টর থেকে লাভ হবে প্রায় ৭-৯ লক্ষ টাকা।
বর্তমান বাজারে বাঁশ গাছের চাহিদা ব্যাপক। আসবাবপত্র তৈরিতে এগুলির ব্যাবহার প্রচুর। ২০২৫ সালে এই ব্যাবসা প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। বিশ্ব বাজারে বাঁশ ব্যাবসায় ভারতের শেয়ার রয়েছে ৪.৫ শতাংশ। আগামীদিনে এই শেয়ার আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই চাষ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে। আপনি এই চাষ করে সহজে লাভবান হতে পারেন।