রেমন্ড কোম্পানির ফাউন্ডার তথা ১২০০ কোটি টাকার মালিক বাধ্য হয়েছেন ভাড়ার ঘরে থাকতে, কারণ জেনে আপনিও

সম্পতির জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, সেটা কম বেশি সবারই জানা। কিন্তু একজন সন্তান যখন নিজের বাবা মায়ের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে বাবা মাকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়, তখন আর্থিক কষ্টের থেকেও মানসিক কষ্টটা আরো বেশি হয়। আজ এরম এক ঘটনার কথা আপনাদের জানাবো, আপনি নিশ্চয়ই রেমন্ড ব্র্যান্ডের পোশাকের কথা শুনেছেন বা হয়তো ব্যবহার করেন। এই রেমন্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিজয়পত সিংহানিয়া। এই কোম্পানির পোশাকের ব্র্যান্ড পুরো ভারতবর্ষের সাথে সাথে বিদেশেও আছে। কিন্তু আজ বিজয়পত সিংহানিয়ার অবস্থা আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন।

বিজয়পত সিংহানিয়া বয়স ৮৩ বছর। তিনি ১৯২৫ সালে রেমন্ড কোম্পানি শুরু করেছিলেন। এরপর নিজের ব্র্যান্ডকে আরও বাড়ানোর জন্য ১৯৫৮ সালে মুম্বাইয়ে শোরুম খোলেন। তবে এতটা এগোনো মোটেও সহজসাধ্য ছিল না তাঁর জন্য। তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং নিষ্ঠার সাথে রেমন্ড সংস্থাটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শুধু ভারতেই নয় তিনি বিদেশে রেমন্ড কোম্পানির শোরুম খুলেছেন।

তবে এখন তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে, তাঁর ছেলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর থেকে। তিনি বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তাঁকে অফিসেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র আছে। তাঁর গাড়িও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর সচিবের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারছেন না।

২০১৫ সালে ১০০০ কোটি টাকার কোম্পানির সমস্ত শেয়ার তিনি তাঁর ছেলে গৌতম সিংহানিয়া নামে করে দিয়েছিলেন। ব্যাস এর পরেই ঘটে বিপত্তি, তাঁর ছেলে সমস্ত কিছু হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয়। একসময় বিজয়পত সিংহানিয়ার মুম্বাইএর মধ্যে মুকেশ আম্বানির থেকেও বড় বাড়ি ছিল। এখন তিনি তাঁর বিলাসবহুল বাড়িও হারিয়েছেন।

তিনি তাঁর আত্মজীবনী “অ্যান ইনকমপ্লিট লাইফ” বইয়ে প্রকাশ করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর নিজের শৈশবের দিনগুলো নিয়েও কিছু লিখেছেন। এছাড়াও তিনি লিখেছেন, ” আপনি জীবিত অবস্থায় সন্তানদের সম্পত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে। আপনার সম্পত্তি আপনার সন্তানদের নামে হওয়া উচিত, আপনার মৃত্যুর পরেই। আমি চাই না যে কোনও পিতামাতাকে প্রতিদিন আমি যা দিয়ে যাচ্ছি তার মধ্যে দিয়ে যাক।”

Related Articles

Back to top button