১০০ বছর বয়সে শাড়ির ব্যবসা করছেন এই ঠাকুরমা, শাড়ির দাম শুনলে চোখ উঠবে কপালে

কেরলে একশ বছরের বেশি বৃদ্ধ মহিলার শাড়ির ব্যবসা, তার তৈরি শাড়ি ফিল্ম দুনিয়াতেও জনপ্রিয়

কোন কিছু করার জন্য বয়স কোন ফ্যাক্টর হয় না, তা আমরা সফলতার গল্পে শুনে এসেছি। এই প্রতিবেদনে এমনই এক বৃদ্ধার গল্প দৃষ্টান্তে। যে বয়সে এসে মানুষ ঠিকঠাক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না সেই বয়সে এই বৃদ্ধা মহিলা নিজের কাজ করে দুনিয়াকে অবাক করেছে। বয়স পার হয়েছে ১০০, তাতে কি? এই মহিলা একাই নিজের ব্যবসা সামলাচ্ছেন। তৈরি করছে একের পর এক দামি শাড়ি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বৃদ্ধ মহিলার সফলতার গল্প (Success Story)।

আসলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কোন না কোন শখ থাকে। সেই শখ পূরণের জন্য মানুষ ব্যাকূলতা হয়ে পরে বয়স এখানে কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আমরা আপনাকে কেরলের (Kerala) ত্রিশূরের বাসিন্দা পদ্মাবতী নায়ার (Padmavati Nayar) এই ঠাকুমার কথা বলতে যাচ্ছি। যার বর্তমান বয়স ১০২ বছর। এই ঠাকুমা এখনো প্রতিদিন তিন ঘন্টা করে কাজ করেন। তিনি শাড়ির ডিজাইন ও পেইন্টিংয়ের কাজ করে নিজের ব্যবসা চালান।

তিনি নিজের কাজকে খুব পছন্দ করেন। এই ঠাকুরমা বলেন, “নিজেকে ব্যস্ত রাখা এবং অন্যের জীবনে হস্তক্ষেপ না করা।” তার সফলতার মূল কারণ, এই কথাটি তিনি নিজে অনুসরণ করেন। এক সাক্ষাৎকারে এই ঠাকুরমা বলেছেন, “আমি এই কাজ নিজে উপভোগ করি এবং অনেক তৃপ্তি দেয়।” আজও তিনি নিজের হাতে শাড়ির ডিজাইন রং করার কাজ করেন। তবে তার শাড়ি আনার কাজে সাহায্য করতো তার মেয়ে ও পুত্রবধু।

শাড়ির অর্ডার পায়:-

১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করা এই বৃদ্ধ মহিলার নিজের হাতের তৈরী শাড়ির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তার মেয়ে লতাও তার মায়ের কাজে হাত বাসায়। লতা বলেন, মায়ের একটি শাড়ি ফিনিশিং দিতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। একটি শাড়ি তৈরি করতে ভাল রকম পরিশ্রম হয় ঠাকুমার। যার কারনে পরিশ্রম অনুযায়ী শাড়ির দামও একটু বেশি। ঠাকুরমা তৈরি একটি শাড়ির দাম প্রায় ১১,০০০ টাকা এবং একটি দোপাট্টার দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা। ঠাকুরমা তার উপার্জন নিজের জন্য খরচ করেন না, বরং সমস্তটাই তার নাতি-নাতনিদের জন্য ব্যয় করেন।

 

ঠাকুমার তৈরি শাড়ি এতটাই জনপ্রিয় সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে ফিল্ম দুনিয়া পর্যন্ত এর চাহিদা রয়েছে। তার শাড়ির ডিজাইন ও কাপড়ের কোয়ালিটি ক্রেতাদের মুগ্ধ করে। তিনি বাড়িতে বসেই শাড়ির অর্ডার পান।