এশিয়ায় সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দেশের ৭ টি ইউনিভার্সিটি, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের এই প্রতিষ্ঠান

সম্প্রতি ৭ টি নাম করা ইউনিভার্সিটি (University) বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার স্বপ্ন প্রতিটি ছাত্রছাত্রী দেখে থাকে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে যেসব ছাত্রছাত্রীরা পারে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল সেটা এক কথায় বলা যায়। সম্প্রতি যেই খবরের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আলোচনার বিষয় হয়ে রয়েছে সেটা হলো উচ্চতর এবং কারিগরি শিক্ষায় এশীয় সেরাদের (Asia’s top 100 best university)  মধ্যে জায়গা করে নিল দেশের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের আইআইটি খড়্গপুরও। এই তালিকায় দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আইআইটি বম্বে। এশিয়ার সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (Asia’s top 100 best university) তালিকায় সেটি রয়েছে ৪০তম স্থানে।

University

একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে এশিয়ার সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকাটি তৈরি করেছে ‘কোয়াককোয়ারেলি সাইমন্ডস’ (QS) নামের একটি ব্রিটিশ সংস্থা। কিউএস আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক তাদের রয়েছে বলে দাবি করে। এছাড়া জানিয়ে দি যে কিউএস (QS)-এর এই ১০০ জন সেরা এশিয়া ইউনিভার্সিটির তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়
পি পিকিং এবং সিনহুয়া, তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর (NUS)। আর এই তালিকাটি ‘কিউএস এশিয়া র‌্যাঙ্কিংস ২০২৩’ নামে তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া জানিয়ে দি যে এই তালিকা তৈরিতে যে সূচক ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো মূলত সংশ্লিষ্ট উচ্চতর ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি, পিএইচডি ডিগ্রিধারী কর্মীদের সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের শতাংশের বিচার করে তালিকা তৈরি করা হয়। এতে ভারত থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আইআইটি বম্বে (IIT BOMBAY)। গত বছরের তুলনায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তালিকায় দু’ধাপ এগিয়েছে।

IIT KHARAGPUR

অন্য দিকে, ‘কিউএস এশিয়া র‌্যাঙ্কিংস ২০২২’-এর তালিকা থেকে এক ধাপ নীচে নেমে ৪৬তম স্থানে রয়েছে আইআইটি দিল্লি। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISC) ৫২তম জায়গা দখল করেছে। গত বছর সেটি ছিল ৫৬তম স্থানে। এ ছাড়া, এশীয় সেরাদের প্রথম একশোয় রয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (৫৩), আইআইআইটি খড়্গপুর (IIT KHARAGPUR) (৬১), আইআইআইটি কানপুর (৬৬) এবং ইউনিভার্সিটি অফ দিল্লি (৮৫)।