ছিল না বাইক কেনার টাকা, ৮৩ দিনে আড়াই হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে লাদাখ পৌঁছালেন সিঙ্গুরের মিলন

মানুষ চেষ্টা করলে তার সফলতার পথে পৌঁছে যায়। হতে পারে সেই পথে অনেক বাধা রয়েছে। অনেক ঝুঁকিও রয়েছে। তবে পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা কখনোই বিফলে যায় না। যদি সৎ ভাবে প্রচেষ্টা করা যায় তবে ঠিকই তার লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। সেরকমই উদাহরণের সাক্ষী রইল গোটা দেশ। পায়ে হেঁটে এক যুবক পৌঁছে গেলেন লাদাখ। আসুন বিস্তারিত জেনে নিন –

এ যেন এক সিনেমার গল্প। পায়ে হেঁটে এক যুবক লাদাখে গিয়ে পৌঁছলেন। যুবকটির বাড়ি সিঙ্গুরে বাজেমেলিয়া গ্রামে। এই গ্রাম থেকে লাদাখ বহু দূরে অবস্থিত। এদিকে যুবকের কাছে মোটরবাইক কেনার পয়সা নেই। তবে স্বপ্ন আছে। সেই স্বপ্নের তাগিদেই পৌঁছে গেলেন লাদাখে। তিনি হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন তার গন্তব্যস্থলে জন্য।

তিনি ২২ শে ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেখানে গিয়ে পৌঁছালে মে মাসের ১৫ তারিখ। তিনি লাদাখের খারদুংলা গিরিপথে পৌঁছে গিয়ে তাঁর পরিবারকে খবর দেন। তিনি টানা ৮৩ দিন পায়ে হেঁটেছেন। তবে যুবক কিন্তু যথেষ্ট শিক্ষিত। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন। সেটি ছিল রানীগঞ্জে। তবে লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ লোকেরই মত তাঁরও চাকরি চলে যায়।

এরপর তিনি তার বাবার চায়ের দোকানে বসতেন। তিনি যখন রওনা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তাঁর পরিবারকে জানাননি। কিন্তু তিনি পৌঁছে গিয়ে যখন জানালেন, তার পরিবার খুবই খুশি হয়েছে সে সময়। তাঁর বাবা জানিয়েছেন ছেলে কাজের সন্ধানের জন্য রানীগঞ্জে ফিরে যাচ্ছে এই বলেই সে রওনা হয়েছিল। কিন্তু ‘ আমি খুব খুশি কারণ সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে’। তাঁর মা বলেছেন , যখন ছেলে লাদাখের বুকে জাতীয় পতাকা গেঁথে ছিল। ‘সেই ভিডিও দেখে আমার ছেলের জন্য অনেক গর্ব হচ্ছিল।’ ফেসবুকে ফটো ও ভিডিও শেয়ার হতেই মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলনের খুব প্রশংসা করছে।