সব্জি বিক্রেতার মেয়ে উজ্জ্বল করল পরিবারের নাম, কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা হয়ে উঠলেন নগর সিভিল জজ

প্রচেষ্টা থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব। একটা সময় ফর্ম কেনা, কোচিংয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য খরচের টাকাও ছিল না। কিন্তু আজ তার প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম জীবনে সাফল্য এনে দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা “অঙ্কিতা নগর” (Ankita Nagar), যার বাবা পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। অনেক দারিদ্রতা ও প্রীতিকূলতা মধ্যে দিয়েও সাহস না হারিয়ে সংগ্রাম করে গেছে অঙ্কিতা।

অঙ্কিতার পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। তার বাবা রাস্তার পাশে একটি ঠেলাগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। তার মা সংসারের কাজ শেষ করে তার বাবার সাথেই ঠেলাগাড়িতেই সবজি বিক্রি করতেন। এবং অঙ্কিতাও তার বাবা -মায়ের সাথে সবজি বিক্রিতে সাহায্য করতেন। অনেক পরিশ্রমের ফল স্বরূপ অঙ্কিতা বর্তমানে সিভিল জর্জ পদে কর্মরতো।

অঙ্কিতার সাফল্যে তার বাবা মায়ের পাশাপাশি এলাকার প্রতিটি মানুষ খুবই গর্বিত। ইন্দোর শহরে বসবাসকারী অঙ্কিতা নগর ‘সিভিল জর্জ’ পরীক্ষায় এসসি (SC)কোটায় ৫ম স্থান অর্জন করেছেন। সবজির দোকানে অঙ্কিতা নির্বিচারে হিসাব-নিকাশ করত এবং লোকে ভাবত অঙ্কিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু করবে। অঙ্কিতা ইন্দোরের বেসরকারি কলেজ থেকে এলএলবি অধ্যয়ন করেছেন এবং তারপরে ২০২১ সালে এলএলএম করেছেন।

অঙ্কিতার বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার পরও পরিবারের লোকজন এত পড়াশুনা করালেও মাঝে মাঝে টাকার অভাবে অঙ্কিতা প্রয়োজনীয় কোনো ফর্মও পূরণ করতে পারেনি। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির ও বাবা-মায়ের কাজে সাহায্য করতেন অঙ্কিতা। প্রায় ৩ বছর ধরে, অঙ্কিতা সিভিল জর্জ এর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা সবসময় উৎসাহ দিতেন এবং পরিবারের সমর্থনে অঙ্কিতা কখনো সাহস হারায়নি।

এখন সে সফল হয়েছে এবং যা ফলাফল এসেছে, তাতে শুধু অঙ্কিতাই খুশি নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও খুশি। এছাড়াও বাজারের মানুষ ও এলাকার মানুষও খুব খুশি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে ফল এসেছে কিন্তু আত্মীয়ের কারও মৃত্যুতে পরিবারে শোকের পরিবেশ ছিল, সেজন্য সুখবরটা লুকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা এই সুখবর সবার সাথে শেয়ার করেছি এবং সবাই খুব খুশি।