শৈশবের একাধিক সময় কেটেছে এই বাড়িতে দেখুন গুজরাতে আম্বানির ১০০ বছরের পুরনো বাড়ি

আম্বানি পরিবারের সমগ্র বিশ্বে নিজস্ব একটি পরিচিতি রয়েছে। মূলত ধীরুভাই আম্বানির(Dhiruvai Ambani) হাত ধরে আম্বানি পরিবারের বিশ্ব ব্যাপী পরিচিতি ঘটে। তাঁর দুই ছেলে মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani) ও অনিল আম্বানি(Anil Ambani). ধীরুবাই আম্বানি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সমস্ত সম্পত্তি দুই ছেলের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। একটি অন্যরকম গল্প রয়েছে আম্বানি পরিবারের। অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তিনি এমন সাফল্য অর্জন করেছেন। গুজরাটের ছোট একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা ধীরুভাই আম্বানি নিজস্ব ক্ষমতা দিয়ে সমগ্র বিশ্বে নিজের ছাপ তৈরি করেছেন। এই প্রতিবেদনে আপনাদের তাঁর গুজরাটের বাড়ি সম্পর্কে জানাবো। যে বাড়িটি আম্বানি পরিবারের এই পৈতৃক বাড়িটি ১০০ বছরের পুরানো।

গুজরাটে অবস্থিত রয়েছে আম্বানির ১০০ বছরের পুরনো পৈতৃক বাড়ি

গুজরাটের চোরওয়াদ (Chorwad) গ্রামে রয়েছে আম্বানির পৈতৃক বাড়ি, যা প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। বাড়িটিকে এখন ধীরুভাই আম্বানির নামে মেমোরিয়ালে পরিণত করা হয়েছে, যেখানে এই পরিবারের স্মরণীয় কিছু জিনিস রাখা হয়েছে। গ্রামের এই পৈতৃক বাড়িতেই শৈশব কাটিয়েছেন বিখ্যাত শিল্পপতি মুখেশ আম্বানির বাবা তথা দেশের সবচেয়ে ধনী ধীরুভাই আম্বানি এবং এখান থেকেই মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি।

তিনি অনেক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের নাম, যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর যখন তিনি গ্রামে যান, তখন তিনি দেশের সবচেয়ে ধনী বাক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এই গ্রামে তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ কোকিলা বেন (Kokila Ben)-ও আট বছর সময় কাটিয়েছেন।

পৈতৃক বাড়িটিকে মেমোরিয়ালে পরিণত করেছেন কোকিলা বেন আম্বানি

ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী কোকিলা বেন এই গ্রামেই থাকতেন। পরে তাঁর স্বামী ধীরু ভাই আম্বানির স্মরণে গুজরাটের এই গ্রামেই একটি মেমোরিয়াল বানান। কোকিলা বেন, এই বাড়িটিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেখানে একটি অংশ আম্বানি পরিবারের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে, অপরদিকে বাড়ির আর একটি অংশ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরুভাই আম্বানির স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিতে বহু পর্যটকদের ভিড় জমে। বাড়িটির ভিতরের অংশে স্যুভেনিরের দোকানের সাথে আম্বানি পরিবারের সম্পর্কিত কিছু স্মৃতিচিহ্নও রাখা আছে। এখনো মুখেশ আম্বানি ও অনিল আম্বানির মা তথা কোকিলা বেন আম্বানি এই বাড়িতে সময় কাটাতে আসেন। আম্বানি পরিবারের এই পৈতৃক বাড়িটি খুবই সুন্দর এবং বাড়িটির চারী পাশে রয়েছে সবুজের বাগান।