একাধিক সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি স্নানের জলে রাখুন আমপাতা

গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা আমের রয়েছে প্রচুর গুনাগুন। তা সে কাঁচা হোক বা পাকা। আম স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কিন্তু অনেকেরই হয়ত জানা নেই আমের মতোই আমের পাতাও উপকারীতার দিক থেকে কোনো অংশেই কম যায় না। তাহলে চলুন আজকে আমপাতার কিছু গুণ সম্পর্কে জেনে নিন –

১. হেঁচকি ওঠা বন্ধ করতে পারে আম পাতা। অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত হেচকির সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক হতে পারে আমপাতা। এর জন্য আম পাতা কে পুড়িয়ে ধোঁয়া তৈরি করতে হবে। তারপর সেই ধোঁয়া নাকের কাছে ধরলেই হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে কিছুদিন ধোঁয়া গ্রহণ করলে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায়।

২.আমাশা বা ডায়রিয়া রোগ দূর করতেও আমপাতা বিশেষ কার্যকরী। এরজন্য আমপাতাকে ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরী করতে হবে। তারপর সেই গুঁড়ো দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে আমাশা কেটে যাবে।

৩. অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সব ব্যক্তিরা যদি সকাল বেলায় আমপাতা দিয়ে চা তৈরি করে খান তাহলে তাদের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে। তবে একদিনে কাজ হবেনা পর পর কয়েক দিন খেতে হবে।

৪. পেটকে ও নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য আম পাতার জুড়ি মেলা ভার। এজন্য গরম জলে আম পাতা দিয়ে তা সারারাত ঢেকে রাখতে হবে। এরপর সকালবেলায় উঠে খালি পেটে আমপাতা ভেজানো জলটি পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে আম পাতা।
যারা অস্থির ও উদ্বিগ্ন অনুভব করেন বা কথায় কথায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তাদের জন্য বেশ উপকারী আমপাতা। স্নান করার আগে জলে কয়েকটি আমপাতা ফেলে সেই জলে স্নান করলে শরীর ও মন অনেক তাজা হয়ে ওঠে।

৬. কানের ব্যথা কমাতেও বেশ কার্যকরী আমপাতা।
এর জন্য আমপাতা থেকে কিছুটা রস বার করতে হবে। এরপর সেই রস সামান্য গরম করে ড্রপ হিসাবে ব্যবহার করলে অনেকটাই আরাম পাওয়া যাবে।

 

 

 


৭. আম পাতার সাহায্যে পোড়া স্থান নিরাময় হতে পারে খুব দ্রুত। এরজন্য প্রথমে কিছু আম পাতা পুড়িয়ে ছাই করতে হবে। এরপর সেই ছাই আলতো করে পোড়া স্থানের উপরে লাগিয়ে দিতে হবে। এতে তাড়াতাড়ি পোড়া ক্ষত শুকিয়ে যাবে।