যখন মাঝরাতে স্মিতা পাতিলের এক ফোনে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের,জানুন গোটা ঘটনা

অমিতাভ বচ্চন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত অভিনেতা। ইনি নিজের কেরিয়ারে সফলতার যেই চূড়ায় পৌঁচেছেন সেই পর্যন্ত পৌঁছানো যেকোনো মানুষের জন্য স্বপ্নের থেকে কম নয়। তিনি হচ্ছেন বলিউডের সবচেয়ে প্রবীণ নেতা। তিনিএকের পর এক হিট ফিল্মে কাজ করেছেন এবং আজ ৮০ বছর বয়সেও তিনি ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে কাজ করে চলেছেন। তবে আজ এই আর্টিকেলে আমরা অমিতাভ বচ্চনের ফিল্ম নয় বরং তার জীবনে ঘটা একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো। এই ঘটনায় অমিতাভের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল। আসুন জেনেনি পুরো গল্পটি।

একটি ইন্টারভিউতে অমিতাভ জানিয়েছিলেন যে ১৯৮২ সালে যখন অমিতাভ বচ্চন বাঙ্গালোরে কুলি ফিল্মের শুটিং করছিলেন তখন অমিতাভ একদিন যখন দিনেরবেলা শুটিং শেষ করে রাতে বিশ্রাম করার জন্য হোটেল গেছিলেন এবং গভীর ঘুমে ঘুমিয়ের পড়েছিলেন। তখন হটাৎ মাঝরাতে তার ফোনের রিং বেজে ওঠে। এতো রাতে ফোন আসায় অমিতাভ একটু ভয় পেয়ে গেছিলেন।

img 20220615 104605

তারপর অমিতাভ যখন ফোন তুললেন তখন ওপার থেকে তিনি খুব ভয় পাওয়া একটি মহিলা কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। সেই মহিলা বললেন যে “হ্যালো অমিত জি আমি মুম্বাই থেকে স্মিতা পাটিল বলছি। আমি শুধু এইটুক জানতে ফোন করেছি যে আপনি সুস্থ ও সবল আছেন কিনা? আসলে আমি আপনাকে নিয়ে খুব খারাপ একটি স্বপ্ন দেখেছি যে আপনার খুব বড় একসিডেন্ট হয়েছে এবং আপনার চোট লেগেছে।

তাই আমি জানতে ফোন করেছি যে আপনি ঠিক আছেন কিনা?” অমিতাভ স্মিতার কথা শুনে খুব অবাক হয়েছিলেন কারণ সেই সময় অমিতাভ ও স্মিতা দুজন-দুজনকে ভালো করে চিনতেন না। তাদের মাত্র এক-দুবার দেখা হয়েছে।সেখানে স্মিতা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে ফেললো এই ব্যাপারটি অমিতাভের জন্য একটু আশ্চর্যজনক ছিল। তাও স্মিতার চিন্তা দেখে অমিতাভ তাকে আসস্থ করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তিনি সম্পূর্ন সুস্থ্য সবল আছেন।

Smita patil

এরপর স্মিতা বলেছিলেন যে ” ভগবানকে কোটি কোটি প্রনাম জানাই যে ভগবান আপনাকে নিরাপদ ও সুস্থ-সবল রেখেছেন। আপনি দয়া করে সাবধানে থাকবেন ও নিজের খেয়াল রাখবেন।” এই বলে স্মিতা ফোন কেটে দিয়েছিল। ফোন কাটার পর অমিতাভ আবার ঘুমিয়ে পড়েছিল। তবেএরপর স্মিতা পাটিলের ভয় সত্যি রূপ নিয়ে নিয়েছিল।

Amitabh bachchan

স্মিতার সাথে কল হওয়ার কিছুদিন পরে ২৬শে জুলাই যখন কুলি ফিল্মের শুটিং চলছিল তখন অমিতাভকে কয়েকটি বিপদজনক স্টান্ট করতে হয়েছিল। এমনবস্থায় পুনিতের সাথে একটি ছোট স্টান্ট করার সময় অমিতাভ লহুব গুরুত্বর আহত হয়ে গেছিলেন। এমনকি পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গেছিল যে তিনি বাঁচবেন কিনা তা বলা মুশকিল ছিল। কিন্তু ডক্টরদের পরিশ্রম ও অমিতাভের ভক্ত আর পরিবারের পার্থনা অমিতাভকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ করে তুলেছিল।