গঙ্গা নদীতে পাওয়া গেল আমাজন নদীর মাছ! চিন্তায় পড়লেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

বারাণসীর গঙ্গা নদীতে এক আশ্চর্যজনক মাছের সন্ধান মিলেছে। যার পর থেকে বৈজ্ঞানিক মহলে হৈচৈ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই মাসকে দক্ষিণ আমেরিকার মাছ বলে চিহ্নিত করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই মাছ সাকেরমাউথ ক্যাটফিশ হিসেবে পরিচিত যা আমাজন নদীতে পাওয়া যায়। বারানসীর রামনগরে রমনার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে তাতে নাবিকেরা এই মাছের সন্ধান পেয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা চিন্তা প্রকাশ করে বলেছেন এই মাছটি মাংসাশী যা বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুবই বিপদজনক। এমনিতেই ভারতবর্ষের নদী গুলি নিজেদের গভীরতাই বহুবর্ষ কে আবদ্ধ করে রাখে। তবে বারাণসীর রমনা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীতে যে আশ্চর্যজনক মাছের সন্ধান মিলেছে তা ভারত কেন পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া যায় না।

গঙ্গা নদীতে যে গাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে তার মুখের আকৃতি অদ্ভুত। মাছটির মুখের আকৃতি, দেহের গঠন ইত্যাদি দেখে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে মাছটি ভারত থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে আমাজন নদীতে পাওয়া যাওয়া সাকেরমাউথ ক্যাটফিশ।

বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন এই মাছটি গঙ্গানদীর বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করতে পারে আর এই কারণে তার পরামর্শ দিয়েছেন যে মানুষটিকে গঙ্গা থেকে পাওয়ার পর যেন আবার গঙ্গা নদীতে ছেড়ে না দেওয়া হয়। মাংসাশী হওয়ার দরুন মাস্টি বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট জীবকে খেয়ে বেঁচে থাকে আর এতে বড়োসড়ো ক্ষতি হতে পারে গঙ্গা নদীর। অন্যদিকে এই মাছের কোন নিজস্ব ফুড ভ্যালু নেই। কারণ মাছটি খেতে মোটেও সুস্বাদু নয়।

এখন প্রশ্ন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে অ্যামাজন নদীর মাছ ভারতের গঙ্গা নদীতে এলো কিভাবে? মনে করা হচ্ছে অনেকে ব্যবসায়িক কারণে একুরিয়ামে এই সমস্ত মাছ পুষে রাখেন। কোনো কারণবশত কেউ হয়তো মাছটিকে গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে আর এই কারনেই এই মাছের সন্ধান মিলেছে লক্ষণীয় এর আগেও এই সাকেরমাউথ ক্যাটফিশ গঙ্গা নদীতে পাওয়া গেছিল। এখন দ্বিতীয়বার আবার এই মাছ গঙ্গা নদীতে পাওয়া যায় চিন্তা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই সময়ই মাছের রং ছিল সোনালী, আসলে সাকেরমাউথ ক্যাটফিশ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।