ভারতীয় কোম্পানির চোখের ড্রপে মারা গেলেন মার্কিন নাগরিক! কাঠগড়ায় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা

ভারতীয় সংস্থার তৈরি চোখের ড্রপ (eye drop) ব্যবহার করে কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছেন এক আমেরিকান নাগরিক। আর তারপর থেকেই হইচই শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ইতিমধ্যেই এই ওষুধের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। সেইসঙ্গে কাঠগড়ায় ভারতের তৈরি চোখের ড্রপ।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতে চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় হানা দেয় তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অথোরিটির সদস্যরা। চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গ্লোবাল ফার্মা হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডে এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

img 20230204 184619

আসল বিষয়টা হল, ওই কারখানায় তৈরি চোখের ড্রপে ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের অভিযোগ তুলেছে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁদের দাবী, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমিত ওই চোখের ড্রপ ব্যবহার করে বেশ কয়েক জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, এই ড্রপ ব্যবহার করে নাকি ব্লাডস্ট্রিম সংক্রমণের জেরে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। এই ঘটনার পরই আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ওই চোখের ড্রপ পরীক্ষা করে এবং তারপর সেই ড্রপের আমদানী বন্ধ করে দেয় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

এই ঘটনার পরই শুক্রবার গভীর রাতে ওই চোখের ড্রপ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় হানা দিয়ে তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার পিভি বিজয়লক্ষ্মী জানান, ‘যে ব্যাচ থেকে আমেরিকায় ওই চোখের ড্রপ পাঠানো হয়েছিল, সেই ব্যাচের নমুনা আমরা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছি। সেইসঙ্গে ড্রপ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাচামালের নমুনাও সংগ্রহ করেছি। এমনকি, আমেরিকা থেকে সেই চোখের ড্রপের নমুনাও চেয়ে পাঠিয়েছি এবং তা আসার অপেক্ষায় রয়েছি’।

img 20230204 184637

এবিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার পিভি বিজয়লক্ষ্মী আরও জানান, ‘যে ওষুধ ব্যবহার করে আমেরিকাতে মানুষজন সংক্রমিত হয়েছে, সেই ওষুধগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে এখনও যে ওষুধগুলো খোলা হয়নি, সেগুলোর রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি, রিপোর্ট এলেই জানানো হবে’।