সৌন্দর্য্যের দিক থেকে কোন অংশে কম নন আম্বানি ভগিনী দীপ্তি, হার মানাতে পারে বৌদি নীতা আম্বানিকেও
ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রথম সারিতেই দেখা যায় মুকেশ আম্বানির (mukesh ambani) নাম। এই ব্যক্তিকে নিজের ব্যবসা নিয়ে যেমন সংবাদ শিরোনামে থাকতে দেখা যায়, তেমনই নিজের পরিবার পরিজনদের কারণেও তাঁকে অনেক সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতেও দেখা যায়। শুধুমাত্র তিনিই নন, তাঁর স্ত্রী, পুত্র থেকে শুরু করে আলোচনার শীর্ষে থাকতে দেখা যায় তাঁর বোন দীপ্তি আম্বানিকেও (deepti ambani)।
জানিয়ে রাখি, আম্বানি পিতা ধীরুভাই আম্বানির কনিষ্ঠতম সন্তান হলেন দীপ্তি আম্বানি (deepti ambani)। তিনি আবার মুকেশ আম্বানির এক বন্ধু রাজ সালগাওকারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। সালগাওকার গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিক এবং মূলত গোয়ার বাসিন্দা ছিলেন রাজ সালগাওকার। শিক্ষার দিকে বোম্বে ইউনিভার্সিটি থেকে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে এম বি এ পাশ করেন তিনি।
দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রাম করার পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমটায় দুই পরিবার তাঁদের এই সম্পর্ক না মানলেও, পরবর্তীতে সন্তানদের ভালোবাসার কাছে হার মেনে যায় দুই পরিবার। ১৯৮৩ সালে মহা সমারোহের সহিত তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন করে দুই পরিবার।
বিয়ে তো হয়ে যায়, কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল দীপ্তির (deepti ambani)। কারণ তাঁরা কোঙ্কনি ভাষায় কথা বলতেন। আর দীপ্তির এই কোঙ্কনি ভাষা সম্পর্কে একদমই কোন জ্ঞান ছিল না। এরপর পরিবারের সকলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেই কোঙ্কনি ভাষা শিখে নেন দীপ্তি। সেইসঙ্গে গোয়ার জীবনযাত্রার সঙ্গেও নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁদের ঈশিতা সালগাওকার ও বিক্রম সালগাওকার নামে দুই সন্তানও রয়েছ।
তবে আম্বানি পরিবারের এই মেয়ে সৌন্দর্য্যের দিক থেকে বলি হিরোইনদের থেকে কোন অংশে কম নন। এমনকি রূপের দিকে থেকে বলে বলে টেক্কা দিতে পারে বৌদি নীতা আম্বানিকেও (nita ambani)।