কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আধার কার্ড প্যান কার্ড নিয়ে কি করা উচিত! জেনে নিন বিস্তারিত
আধারকার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটারকার্ড এই নথি গুলি আমাদের জীবনের অতি মূল্যবান একটি বস্তু। এই নথি গুলি কারুর কাছে না থাকে তাহলে মানুষের জীবন আজকাল সম্পূর্ণ রূপে থেমে পড়বে। কারণ আজকাল এই নথি গুলি শুধু ভোট দেওয়ার কাজে নয় বরং ছোট থেকে বড় যাবতীয় কাজে এই নথি গুলির দরকার পরে। যেমন-ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে, সম্পত্তি কিনতে, বাচ্চাদের স্কুল, কলেজে ভর্তির জন্য, সিম কার্ড নিতে ইত্যাদি অনেকরকম কাজে এই নথির দরকার পরে।
তবে কোনো মানুষ মারা গেলে এই নথি গুলিকে নিয়ে কি করা উচিত সেই বিষয়ের জ্ঞান আজকালের অনেক মানুষের নেই। আর এই জ্ঞানের অভাবের সুযোগ নেয় কিছু অসাধু ব্যক্তি। সম্প্রতি কিছু ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে যে মৃত লোকের আধার-প্যান ব্যবহার করে সাইবার জালিয়াতি বা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করেছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা। তাই কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আধার-প্যান কার্ডের যত্নের দায়িত্ব এসে পরে মৃতের আত্মীয়দের উপর। তাই আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চলেছি যে মৃত ব্যক্তির আধার-প্যান নথির সাথে কি করা উচিত।
আধার কার্ডে যে UIDAI একটি অনন্য ১২ অঙ্কের নম্বর সংখ্যা দেয় সেটিকে কখনোই বাতিল করা যায় না। তবে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য লক করা যায়। এই লকিং মাধ্যমের দ্বারা আধারের অপব্যবহার রোধ করা যায়। মৃত ব্যক্তির আধার লক করার জন্য প্রথমে UIDAI এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে গিয়ে my adhar বিকল্পে গিয়ে ১২ নম্বরের আধার নম্বরটি লিখতে হবে। এরপর মৃত ব্যক্তির নাম ও পিন লিখতে হবে এবং পরে সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে। এই ধাপ গুলি সম্পূর্ন হওয়ার পর রেডিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে। সেটিকে এন্টার করতে হবে। এরপর মৃত ব্যক্তির আধারটি ব্লক হয়ে যাবে এবং কেউ অপব্যবহার করতে পারবে না।
তবে মৃত ব্যক্তির প্যান কার্ড ইন্যাকটিভ করার জন্য আগে আয়কর বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্যান বা আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত সব অ্যাকাউন্ট অন্যের নামে ট্রান্সফার করতে হবে এবং তারপর ওয়েবসাইটে গিয়ে কার্ডটিকে ব্লক করতে হবে।