নিজের সন্তান না থাকলেও ১৬০ সন্তানের জননী এই বলি অভিনেত্রী, জীবনের গল্প শুনলে জানাবেন স্যালুট
শ্রীনগরে জন্মগ্রহণকারী বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকা (ayesha jhulka) ছোট থেকেই বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে গিয়ে পরিবারের সকলকে নিজের ইচ্ছার কথা জানাতেই অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর জেদের কাছে হার মেনে রাজী হন পরিবারের সকলেই। তবে বর্তমান সময়ে এই অভিনেত্রীকে সেভাবে আর টিভির পর্দায় দেখা যায় না।
১৯৯১ সালে ‘কুরবান’ চলচ্চিত্রের হার ধরে বিটাউনে পা রাখেন অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকা। তবে এই দুনিয়ায় খুব বেশিদিন টেকেননি এই অভিনেত্রী। ‘দালাল’ চলচ্চিত্রটি তাঁর জীবনের কেরিয়ারের গ্রাফ কিছুটা নামিয়ে দিলেও, পরবর্তীতে ‘আঁচ’ চলচ্চিত্র তাঁর সেই নামিয়ে দেওয়া গ্রাফকে বেশ অনেকখানি উপরে তুলে দেয়।
জানিয়ে রাখি, অভিনয় জীবনে প্রায় ৫২ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তবে তাঁর দীর্ঘ ২৭ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারে অনেক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন আয়েশা জুলেকা। নানা পাটেকর, সলমন খান থেকে শুরু করে, মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয় কুমার, একাধিক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও, বিয়ে অবধি টেকেনি কোন সম্পর্কই। শেষে ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সমীর ভাশিকে বিয়ে করে বিনোদন দুনিয়া থেকে কিছুটা সরে যান এই অভিনেত্রী।
চলচ্চিত্র দুনিয়া থেকে সরে থাকলেও কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি আবার কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনাও করেছেন তিনি। তবে প্রায় ৩০ বছরের বিবাহিত জীবন হয়ে গেলেও এখনও কোন সন্তান নেই আয়েশা জুলেকা এবং তাঁর স্বামী সমীর ভাশির। তবে তাঁরা কিন্তু একই সঙ্গে ১৬০ টি সন্তানকে লালন পালন করছেন।
এবিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা জুলেকা জানিয়েছিলেন, ‘জীবনে নানা ওঠা পড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। এরপর একদিন যখন সন্তান সম্পর্কে আমার ধারণার কথা স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করি, তখন তিনির রাজী হয়ে যান। সেই মত বিয়ের পর আমরা দুজনে গুজরাটের দুটি গ্রাম দত্তক নিই এবং সেখানকার ১৬০ টি শিশুর সমস্ত দায়িত্ব নিই। তবে এই সন্তানদের আমরা মুম্বাই এনে কাছে না রাখতে পারলেও, তাঁদের কাছে মাঝে মধ্যেই চলে যাই। এভাবেই আমরা আমাদের সন্তানের আনন্দ অনুভব করি’।