দুই বন্ধুর থেকে ধার নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা, আজ দাঁড় করিয়েছেন ৬০ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি
বর্তমান সময়ে ইন্ডিগো বিমানে (Indigo) ভারতের ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্রমণ করে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যাত্রীরা ইন্ডিগোতে ভ্রমণ করছেন। তবে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানিটির কথা কেউ জানত না। কিংফিশার, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো বড় বড় জায়ান্টকে পিছনে ফেলে ভারতীয় বিমান শিল্পে সেই সংস্থাটি তার চিহ্ন তৈরি করেছিল। এর পেছনে রয়েছে খুবই মজার গল্প। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের (Indigo Airlines) সাফল্যের গল্প।
এভাবেই শুরু হলো ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স (Indigo Airlines)
রাহুল ভাটিয়া (Rahul Bhatia) দিল্লির বাসিন্দা। তিনি কানাডায় পড়াশোনা করে ভারতে আসেন। রাহুল ভাটিয়ার বাবা কপিল ভাটিয়ার একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা ছিল। তিনি তার বাবার ব্যবসায় যেতে চাননি। এই কারণে তিনি অন্য ব্যবসা করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তা হয়নি। এদিকে রাহুলের বাবা অসুস্থ হতে শুরু করলে বাবার ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব পড়ে রাহুলের (Rahul Bhatia) ওপর। তারপর রাহুল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজেস’ করেন এবং এয়ারলাইন টিকিটের ফ্র্যাঞ্চাইজিও নেন।
দীর্ঘদিন এই সেক্টরে কাজ করেছেন রাহুল
রাহুল দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। অন্যদিকে রাহুলের আমেরিকান বন্ধু রাকেশ গাঙ্গওয়াল তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময়ে কিংফিশার, জেট এবং স্পাইসজেটের মতো বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি ভারতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করত। এর জেরে রাকেশের সামনে বেসরকারি বিমান সংস্থা চালুর প্রস্তাব দেন রাহুল। অনেক আলোচনার পর, রাকেশ অংশীদারিত্বে সম্মত হন এবং তারপর ২০০৪ সালে ‘ইন্টারগ্লোব এভিয়েশন’ চালু হয়। তিনি এয়ারলাইন চালু করার লাইসেন্স পান।
এভাবেই ইন্ডিগো (Indigo) সফল হয়
ধার করা টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল ইন্ডিগো। প্রথমদিকে এই সংস্থাটি নিজের জন্য লোন নিয়ে বিমানটি কিনেছিল। তবে বিমানটি কেনার পরে এই সংস্থাটি লাইমলাইটে চলে আসে। যার কারণে অনেকেই ইন্ডিগোকে চিনতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ইন্ডিগো ১০০টি বিমান কিনেছে। তখন ইন্ডিগোর কাছে ছিল মাত্র ১০০ কোটি টাকা।
রাকেশ গাঙ্গওয়ালের সাথে পরিচয়ের কারণে এয়ারবাস ১০০টি বিমান ঋণে দেয় এবং তারপরে এই সংস্থাটি শুরু হয়। কোম্পানিটি ৪ আগস্ট ২০০৬ থেকে ফ্লাইট শুরু করে। ইন্ডিগো ২০০৬ সালে ১০০টি বিমান নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। ইন্ডিগো এয়ারবাসকে ১৮০ টি বিমানের অর্ডার দেয়, তারপরে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও শুরু করে।