বাড়ির ছাদ নাকি বাগান দেখে বলা মুশকিল, ৬৫ বছরে মহিলার গার্ডেনিং দেখে হতবাক সকলেই

কোন কিছু করার জন্য বয়স কোন ফ্যাক্টর হয় না। প্রবাদটি আরোও একবার প্রমাণ করে দিলেন 65 বছর বয়সী এক মহিলা। যিনি তার জীবনের অনেক সময় পার করে শৈশবের শখ পূরণ করেছেন। আমরা আপনাকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ‘চেতনা ভাটির’ (Chatna bhati) কথা বলতে যাচ্ছি। যিনি তার ছোটবেলার শখ পূরণ করেছেন এবং বাড়িকে বানিয়ে তুলেছেন ‘গ্রীন সেক্টর’। চলুন জানি পুরো খবর।

হ্যাঁ বন্ধুরা, চেতনা ভাটির ছোটবেলা থেকেই গার্ডেনের শখ ছিল। শৈশবে তিনি যখন দাদু-ঠাকুমার কাছে থাকতেন তখন থেকেই তিনি গাছ লাগানো ও বাগান তৈরি করা শিখেছিলেন। তার বিবাহ হয়েছিল একজন জেল সুপারের সাথে। তাই সেই সূত্রে তাকে সরকারি বাসভবনেই বেশির ভাগ সময় কাটাতে হতো। সেখানেও তিনি গাছ লাগাতেন। ছোটবেলা থেকেই দাদু-ঠাকমার কাছ থেকে বাগান তৈরি পদ্ধতি শিখে চেতনা প্রথম থেকেই গাছ লাগানোর প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তার মধ্যে বিশ্বাস জাগিয়ে রেখেছিলেন বড়ো হয়ে নিজে বাগান তৈরি করবে।

পরে যখন তার স্বামীর চাকরির মেয়াদ শেষ হয় তারা নিজেদের বাসস্থানে চলে আসে। এসে তিনি বাড়ির ছাদ ও আশপাশের জায়গাকে ‘গ্রীন সেক্টর’ বানিয়ে তুলেছে। সেখানে তিনি ফুল, ফল, সবজি ও ভেষজর মতো নানান ধরনের গাছের জৈবিক চাষ করছে। তিনি করোনার শুরুবাতিদৌড় অর্থাৎ 2020-এর প্রথম লোকডাউনের সময় বাড়িতেই জৈবিক পদ্ধতিতে বাগান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন গাছ লাগানো শুরু করে দেয়।

হ্যাঁ বন্ধুরা, চেতনা ভাটি বাড়ির ছাদকে যেমন সবুজ করে তুলেছেন তেমনি বাড়ির বারান্দাকেও গড়ে তুলেছে ‘গ্রীন’। তিনি 40×20 ফুটের এড়িয়া বারান্দাতেও পুদিনা, টম্যাটো, মিষ্টি নিম, লঙ্কা ও আরও বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে। তবে তিনি ছাদ ও বারান্দা, এই সমস্ত গাছ গুলো চাষ করেছে পুরোপুরি জৈবিক পদ্ধতিতে। তিনি রাসায়নিক সারকে গাছের থেকে দূরে সরিয়ে সম্পূর্ণরূপে জৈবিক সার দিয়ে গাছগুলোকে বড়ো করছে।

তাকে গাছের চাষ শুধু জৈবিক সার দিয়েই কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রাসায়নিক সার অত্যন্ত কেমিক্যালে ভরা যা আমাদের শরীরকে একটু একটু করে ক্ষতি করে। তাছাড়া কোনো কীটনাশক প্রয়োগ না করে শুধু জৈবিক সার ও জল দিয়ে চাষ করা সবজি ও ফল সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এবং দৈনন্দিন জীবনে যে সবজিগুলো খাওয়া হয় তার একটা আলাদা সুস্বাদু থাকে। চেতনা ভাটি তার কঠোর পরিশ্রমে ছাদ ও বারান্দা মিলিয়ে 150 টিরও বেশি গাছ লাগিয়ে জৈৱিকভাবে বড়ো করেছে।