এক ধাক্কায় ৫০% কমবে ইলেকট্রিক বিল শুধু মেনে চলুন এই উপায়গুলি

বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে, তাই নিয়ে আপনি চিন্তাগ্রস্থ। তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আপনার কিছু কিছু কারণের জন্যই বিদ্যুতের বিল অতিরিক্ত বেশি আসছে। আপনাকে আজ কিছু কিছু টিপস বলব, সেগুলো ফলো করলে আপনি সহজেই বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে পারবেন। আসুন জেনে নিন সেই টিপস গুলো।

১. অনেক সময় ভেজা কাপড়ে ইস্ত্রি করা হয়। ভেজা কাপড়ে ইস্ত্রি করা হলে শুকনো হতে অনেকক্ষণ সময় লাগে। এই কারণে আয়রন করতেও অনেকটাই সময় লাগে। বিদ্যুতের বিল সেই কারণেও বেশি আসতে পারে। তাই অবশ্যই শুকনো কাপড় ইস্ত্রি করুন। স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা কাপড়ে ইস্ত্রি করবেন না।

২. ফ্রিজ ঠান্ডা রাখার জন্য কম বায়ু সার্কুলেটের ব্যবহূত হয়। এই কারণে বেশি কারেন্টের বিল আসে। সব সময় চেষ্টা করবেন ফ্রিজ যেন পূর্ণ থাকে। ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না। গরম খাবার রাখলে ফ্রিজের উপর চাপ পড়ে। তখন কারেন্টের বিল বেশি আসে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন খাবার যাতে অতিরিক্ত গরম না হয় বা গরম খাবার চাপা দিয়ে ফ্রিজে রাখবেন না। এটা করলেও আপনার কারেন্টের বিল কম আসবে।

৩. বৈদ্যুতিক ড্রায়ারও বিদ্যুতের বিল অতিরিক্ত খরচ করে। এরজন্য আপনি একটা করে কাপড় না শুকিয়ে অনেকগুলি কাপড় নিয়ে শুকিয়ে নিন। এতে আপনার বিদ্যুতের বিল কিছুটা হলেও বাচবে। জামা কাপড়ে অতিরিক্ত ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।

৪. ওয়াশিং মেশিনেও বেশ বিদ্যুতের বিল উঠে। তাই নোংরা জামাকাপড় ভর্তি করে দিন। ওয়াশিং মেশিনে যতটুকু ডিটারজেন্ট প্রয়োজন। ততটুকু ডিটারজেন্ট দিয়ে দিন। এর ফলে ওয়াশিং মেশিনে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না আপনার কারেন্টের বিলও বাঁচবে।

৫. মাইক্রোওভেনেও বিদ্যুতের বিল বেশি উঠে। আপনি যখন কোন খাবার করতে মাইক্রোওভেনে দেবেন তখন সেটি হয়েছে কিনা এটা বারবার পরীক্ষা করবেন না। কারণ আপনি মাইক্রোওভেনে দরজা যখনই খুলবেন তখনই ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আপনাআপনি কমে যাবে। এর ফলে বিদ্যুতের বিল বেশি উঠবে।