টাকার কাছেও মাথা নত করেননি এই 5 বলি তারকা, ফিরিয়ে দিয়েছেন কোটি টাকার বিজ্ঞাপন-এর অফার

বড় বড় কোম্পানিরা নিজের ব্র্যান্ডের প্রোমোশনের জন্য বড় বড় তারকাদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার ব্যবহার করে থাকেন। কোম্পানি গুলি সেলিব্রিটিদের দ্বারা তাদের প্রোডাক্টের অ্যাডভারটাইজমেন্ট সুট করিয়ে থাকেন। যাতে প্রিয় তারকাদের দেখে মানুষ সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে।

এই কারণেই বলিউড সেলিব্রিটিদের এতো বেশি পরিমাণে অ্যাডভারটাইজমেন্ট করতে দেখা যায়। কিন্তু কিছু কিছু বলিউড তারকারা রয়েছে যারা বিভিন্ন কারণে কোটি কোটি টাকার অ্যাডভারটাইজমেন্ট অফার সুট করতে মানা করে দেন। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ৫ জন অভিনেতার নাম বলবো যারা কোটি টাকার অ্যাডভারটাইজমেন্ট সুট করতে মানা করে দিয়েছেন।

১) অনিতাভ বচ্চন: ২০১৪ সালে আইআইএম আমেদাবাদের একটি প্রোগ্রামে সবার সামনে অমিতাভ বচ্চন পেপসির অ্যাডভারটাইজমেন্ট করবেনা বলে ঘোষণা করেন। কারণ একবার একটি বাচ্চা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে অমিতাভ কেন এমন জিনিসের অ্যাডভারটাইজমেন্ট করেন যা বাচ্চাটির শিক্ষক বাচ্চাটিকে বলেছে যে এটি একটি বিষ। তাই অমিতাভ আর পেপসির অ্যাডভারটাইজমেন্ট করেন না।

২) রণবীর কাপুর: ২০১৭ সালে রণবীর কাপুর ৯ কোটি টাকার ফেয়ারনেস ক্রিমের সুটের অফারকে মানা করে দিয়েছিলেন। রণবীরের এই অ্যাডভারটাইজমেন্টকে মানা করার কারণটি স্পষ্ঠ নয়।

৩) সুশান্ত সিং রাজপুত: ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ২০১৫ সালে ১৫ কোটি টাকার একটি অ্যাডভারটাইজমেন্ট সুটের অফারকে মানা করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন যেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করার জন্য তিনি মানুষকে বলছেন তা ব্যবহার করে যদি মানুষের ক্ষতি হয় তার জন্য তিনিও নিজেকে দায়ী মনে করবেন। কারণ মানুষ তার মুখ দেখে সেই প্রোডাক্ট কিনবে। তাই সুশান্ত ১৫ কোটির লোভনীয় অ্যাডভারটাইজমেন্ট সুটের অফারকে বাতিল করে দিয়েছিলেন।

৪) ইমরান হাসমি: ২০১৩ ইমরান একটি মদের অ্যাডভারটাইজমেন্ট করতে মানা করেছিলেন। কারণ তিনি দর্শকদের কোনো নেশা বা ক্ষতিকর জিনিস কেনার জন্য উৎসাহিত করতে চাইতেন না।

৫) অনুষ্কা শর্মা: অনুষ্কা শর্মা কখনোই কোনো ফেয়ারনেস পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজ করেননি। ২০১৫ সালের একটি ইভেন্টে তিনি বলেছিলেন, “আমি এমন পণ্যগুলিকে সমর্থন করব না যা বর্ণবাদী এবং যৌনতাপূর্ণ বিশ্বাস এবং সামাজিক নিষেধাজ্ঞা প্রচার করে৷ আমি ফর্সা ত্বক প্রচার করে এমন পণ্যগুলিকে সমর্থন করতে চাই না। আমি এমন কিছু প্রচার করব না যা বলে যে এটি সঠিক বা ভুল।”