৪০০ জন জলপরি একসাথে এসে করলো ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, ভাইরাল হলো ছবি

এটা বাস্তব কথা যে সফল হতে গেলে অনেক পরিশ্রম, ত্যাগ, ধৈর্য লাগে। বিশ্ব রেকর্ড বানানোর জন্য মানুষকে কি না কি করতে হয়। কখনো নাক, তো কখনো বুদ্ধি, কখনো টেকনিক আর কখনো প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়। কিন্তু কিছু কিছু বিশ্ব রেকর্ড এমন ভাবেও তৈরি হয় যেখানে নতুন রেকর্ড তৈরির উৎসাহ আরো বেড়ে যায় যখন এন্টারটেনমেন্ট ও উদযাপন একসাথে যুক্ত হয়ে যায়।

ব্রিটেনের প্লায়মাউথে সেই দিন আর সময়কে সেলিব্রেশন ও এন্টারটেন্টকে উৎসর্গ করা হয়েছিল যেইদিন সুইমিং পুলের ধরে নতুন রেকর্ড তৈরি করা হচ্ছিল। সেই জায়গাটি ওই সময় বিভিন্ন রঙের সুন্দরী সুন্দরী জলপরী দ্বারা ভরে উঠেছিল। একসাথে ৪০০ জলপরি এসে নতুন গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করেছিল। এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ, মহিলা, বাচ্চা, বুড়ো সকলেই অংশ নিয়েছিল। শুধু একটাই শর্ত ছিল যে সকলকে জলপরী হয়ে আসতে হবে।

এখনো পর্যন্ত জলপরীর সবচেয়ে বড় সভাতে তৈরি হলো রেকর্ড

প্লাইমাউথের ডেভনে ২০২২ সালের মারমেড চ্যালেঞ্জে পুরুষ, মহিলা ও শিশু সহ মোট ৩৮৮ জন অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিযোগিতাটি মারমেড ও মারমেনসদের একসাথে যা মারমেইড এবং মারমেনদের একসাথে, একজায়গায় বৈঠক করিয়ে আগের গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে। জানিয়ে দি আগের গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ৩০০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। আর এইবার এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৮। রেকর্ড তৈরির ইভেন্টের নিয়ম ছিল যে শরীরের উপরের অংশে যা খুশি পরা যেতে পারে কিন্তু নীচের অংশে রঙিন চাকচিক্য ও পা ঢাকা পোশাক থাকবে মারমেডের মতো। আয়োজক পলিন বার্কার জানান যে এই প্রতিযোগিতাটি রানীর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রথম দিন আয়োজন করা হয়েছিল এবং এটি সফল প্রমাণিত হয়েছে।

পুরোনো রেকর্ড ৩০০ কে ৩৮৮ দ্বারা ভাঙা হলো

এই ইভেন্টটি ৬০০ টি টিকিটের ছিল এবং প্রতিটি টিকিট অনলাইন বিক্রিও হয়ে গেছিল। এই প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছিল সকাল ৮ টা নাগাত। সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা একটি ফিশটেইল পোষাক পরে ছিল আর পায়ের উপর ঢাকা ফ্লেয়ার্ডের মতো ছিল। প্রোগ্রামের একজন প্রবক্তার মতে তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ডটি ভেঙেছেন। তবে তাকে পরের সপ্তাহে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। আগের রেকর্ডটি ছিল ৩০০ তারপরে ৩০১-এর টার্গেট সেট করা হয়েছিল কিন্তু টার্গেট ছাড়িয়ে সেটি ৩৮৮ তে পৌঁছে গেছে।