স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক সাধারণ তেল, জেনে নিন এই 4 টি রান্নার তেল সম্পর্কে যাতে স্বাস্থ্য থাকে ফিট

আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন অনেক খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি এবং খেয়ে থাকি। তবে সম্পূর্ণ তথ্যের অভাবে সেই খাদ্যদ্রব্যের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে জানতে পারি না। বহু শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নাঘরে খাবার রান্না করার সময় তেলের (Oil) ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও বেশিরভাগ মানুষ তাদের খাবারে বিভিন্ন ধরনের তেল (Oil) ব্যবহার করে। এর কারণ তেল অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।

বেশির ভাগ মানুষ শুধু রান্নার জন্যই তেল ব্যবহার করে। তবে তেলের ব্যবহার শুধু খাবার রান্নার জন্যই নয়, এটি আমাদের শরীরের ছোট-বড় অনেক সমস্যা দূর করতেও খুব সহায়ক হতে পারে। বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায়। তবে আজ সেই সব তেলের কথা বলা হবে যা আপনার জন্য খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদেও এই চার প্রকার তেলের কথা বলা হয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এর সম্পর্কে।

তিলের তেল

সবদিক দিয়ে উপকারী এর তেল। এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তিলের বীজ সেবন করে এবং তিলের তেল লাগালে এটি ত্বকের বর্ণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং এতে আর্দ্রতা ধরে রাখে।এর সাথে তিল শুকনো কাশি সারাতে খুবই কার্যকরী। এর জন্য মিছরিতে তিল মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে খান। এটি শুকনো কাশির প্রতিষেধক।

এটি দিয়ে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। এ জন্য গুড়ের সঙ্গে তিলের তেল নিন। অন্যদিকে, আপনি যদি হাড় ও জয়েন্টে ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে তিলের তেল খেতে পারেন। এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ পাওয়া যায়, যা শরীরের হাড়ের জন্য উপকারী।

নারকেল তেল

এই তেল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই কারণেই এটি শরীরের সাথে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়। নারকেল তেল সাধারণত চুল এবং শরীরের ম্যাসেজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে দক্ষিণ ভারতে এই তেল রান্নার জন্যও ব্যবহৃত হয়। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই তেল কাজ করতে পারে। নারকেল তেলের উপকারিতার মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার উপকারিতাও অন্তর্ভুক্ত। একই সাথে নারকেল তেল হাড়কে সুস্থ রাখতে এবং তাদের শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।

ঘি

খাবারে ঘি যোগ করলে আপনি শুধু শারীরিকভাবে শক্তিশালীই হবেন না, সুস্থও থাকবেন। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্য ঘি অনেক উপকারী। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্য ঘি খাওয়া খুবই উপকারী। শরীরে শক্তি দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে। যাদের পেট অপরিষ্কার এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের জন্য ঘি সেবন উপকারী।

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে ২ চামচ ঘি খেলে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঘি ক্ষুদ্রান্ত্রের শোষণ ক্ষমতাকে উন্নত করে, তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, মুখের ঘা ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সরিষার তেল

এই তেল বেশিরভাগই খাবারে ব্যবহৃত হয়। ভারতে প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে, সরিষার তেল নিরামিষ বা আমিষ উভয় খাবারেই ব্যবহৃত হয়। সরিষার তেল যে শুধু রান্নায় ব্যবহার করা হয় তা নয় এটি খুবই উপকারী ও উপকারী। এই তেল ব্যবহারে ছোট-বড় অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। এটি আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলের জন্যও খুব ভালো।

এর আরও উপকারিতা রয়েছে যদি কখনও আপনার শরীরে ব্যথা হয় তবে আপনি সরিষার তেলের সাথে রসুন গরম করুন এবং শরীরে মালিশ করুন। এতে ব্যথা কমে যায়। সেই সঙ্গে এই তেলে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শক্তিশালী হয়। যা রোগ কমায় এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।