শারীরিক গঠনের জন্য শুনতে হয়েছে একাধিকবার খোটা, নিজের কাজের দ্বারা জবাব দিলেন ৩ ফুট ৩ ইঞ্চির এই মহিলা

অনেক মানুষ তাদের চেহারা এবং উচ্চতা সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন যে জীবনে কিছু হওয়ার জন্য সুন্দর দেখতে, ভালো উচ্চতা এবং ফর্সা গায়ের অধিকারী হওয়া খুবই জরুরি, কিন্তু এটা সত্য নয়। মানুষের আকার-আকৃতি, রং বা রূপ যাই হোক না কেন, কিছু করার চেতনা যদি মনে জাগ্রত হয়, তবে প্রতিটি পথ সহজ হয়ে যায়।

আজ আমরা এমনই এক মেয়ে আরতি ডোগরার সত্যিকারের গল্প বলতে যাচ্ছি। যিনি আকারে খুব ছোট কিন্তু উচ্চ আশা ছিলো তার, যার কারণে তিনি আই এ এস অফিসারের পদ পেয়ে তার ছোট আকার সম্পর্কিত সমস্ত ভ্রান্ত ধারণাকে পরাস্ত করেছেন।

তিনি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রাজেন্দ্র ডোগরা, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্নেল হিসেবে কর্মরত এবং মায়ের নাম মিসেস কুমকুম ডোগরা। তিনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। যখন তার জন্ম হয়, তখন তার বাবা-মাকে ডাক্তার বলেছিলেন যে আরতি শারীরিকভাবে দুর্বল। তখন আরতির বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তারা এখন আর অন্য সন্তানের জন্ম দেবেন না এবং কেবলমাত্র আরতির সঠিক যত্ন নেবেন এবং তাকে সমস্ত আরাম এবং ভাল শিক্ষা দেবেন।

তিনি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের একটি সুপরিচিত স্কুল ওয়েলহাম গার্লস স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তারপর তিনি দিল্লিতে শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্সে ভর্তি হয়ে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এর পর তিনি ইউ পি এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। ২০০৬ সালে, আই এ এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তার পরিবারের সকল সদস্যের মাথা গর্বের সাথে উঁচু করেছিলেন।

তিনি যখন বিকানেরে পোস্ট হয়েছিলেন, তখন সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিনি ‘বাঁকো বিকানো’ প্রচার শুরু করেছিলেন। এর অধীনে তিনি বাসিন্দাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন এবং খোলা জায়গায় মলত্যাগ না করার জন্যও বলেছেন। এই প্রচারণার আওতায় গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরি করান তিনি। এটি প্রায় ১৯৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কভার করেছে। প্রচারটি একটি বিশাল সাফল্য পেয়েছিল, যা অন্যান্য জেলাগুলিও অনুসরণ করেছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীও এই প্রচারের খুব প্রশংসা করেছেন।