সম্পত্তির ভাগ চাইতে আসা ছেলেকে মা দিল মাত্র ৭৪ টাকা, বাকি কোটি টাকা লিখে দিল অন্যের নামে

বর্তমান সমাজে কিছু মানুষের লোভ মানুষকে এতটাই রসাতলে নিয়ে চলে যায় যে তারা তাদের মা-বাবাকে নিয়ে না ভাবলেও তাদের সম্পত্তির কথা সবার আগে ভাবে। মা-বাবা যদি বৃদ্ধাশ্রমে থাকে অসুবিধা নেয় বরং ভালোয় হয় কিন্তু তাদের সম্পত্তি যেন তাদের যেনো হাত ছাড়া না হয়। সম্প্রতি এরকম এক ঘটনা সামনে এসেছে।
এক মহিলা রেডইট অ্যাপে তার নিজের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন যে তার ঠাকুমা মৃত্যুর আগে সমস্ত সম্পত্তি তার নামে করে দিয়ে গেছেন। এই ঘটনা শুনে তার বাবা অর্থাৎ সম্পত্তির ভাগ চাইতে এসেছেন। আসলে মহিলার যখন বয়স 13 বছর ছিলো তখন তার বাবা তার মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ নেন।
কারণ তার বাবা তখন একটা অন্য মেয়ের সাথে প্রেমসূত্রে আবদ্ধ ছিলেন এবং সেই মহিলা গর্ভবতী ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তার মাকে বলেন যে তিনি ওই মহিলাকে ভালোবাসেন এবং তার সাথেই থাকতে চান। তারপর তিনি সেই মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও তিনি তার প্রথম পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখেন।
কিন্তু সময়ের কালে তার দ্বিতীয় পরিবারই প্রথম পরিবারের থেকে অগ্রাধিকার পায়। এরপর মহিলাটি তার মা,ঠাকুমা ও দাদু অন্য শহরে চলে যান। তার ঠাকুরমা তাকে খুব ভালোবাসতেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিগত বছর তিনি ক্যান্সারে মারা যান । ভবিষ্যতে যাতে তিনি কোনো সমস্যায় আর্থিক সমস্যায় না পড়ে সেই জন্য তার ঠাকুমা তার সমস্ত সম্পত্তি প্রায় দুই হাজার ডলার তার নামে করে দিয়ে যান।
বৃদ্ধা ছেলের আচরণে খুবই নিরাশ ছিলেন তাই তিনি ছেলের জন্য রেখে যান মাত্র 1 ডলার অর্থাৎ যার বর্তমান মূল্য হচ্ছে 74 টাকা। এরপর বৃদ্ধার ছেলে সম্পত্তির ভাগ চাইতে এসেছে এবং তার মেয়ের উপর চাপ দিতে থাকে। শুধু তাই নয় তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও মহিলাটির ওপর চাপ দিতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীকালে তার বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং তিনি স্বীকার করেন যে তিনি অনেক ঋণে ছিলেন। তাই তিনি সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন এবং এও প্রতিশ্রুতি দেন যে ভবিষ্যতে তিনি কোনোদিনই সম্পত্তির ভাগ চাইবেন না।