সমুদ্রে পাওয়া গেল অদ্ভুত মাছ, দেখে নেটিজনরা বলছে এলিয়েন

সামুদ্রিক প্রাণীদের প্রায়শই তাদের অদ্ভুত আকার এবং শারীরিক গঠনের কারণে রসিকতা করে অনেকেই এলিয়েনদের সাথে তুলনা করে থাকেন। এমন এক প্রাণীর কথা আজ আপনাদের কে বলতে চলেছি যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এই মাছকে ‘বিদেশি’ প্রজাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। যা ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে সমুদ্রের প্রায় ২,০০০ ফুট নীচে বাস করে।
এই মাছের মাথা স্বচ্ছ, যার চোখ হেডলাইটের মতো জ্বলে। গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী এই প্রাণীটিকে বলা হয় ‘বরেলি মাছ’। মন্টেরি বে অ্যাকোয়ারিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউট তার রিমোট-অপারেটেড ভেহিকেল (ROV) ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রের এই প্রাণীটিকে খুঁজে পেয়েছে। এই মাছের চোখ দুটি মুখের পিছনে অবস্থান করে,অনেকটা উজ্জ্বল সবুজ বলের মতো যা স্বচ্ছ মাথার উপর থেকে যা দেখা যায়।
খাবারের সন্ধানে এর চোখ উপরে এবং সামনে উভয় দিকে তাকাতে পারে। “এমবিএআরআই-এর ভেনটানা এবং ডক্টর রিকেটসের মতো যানবাহনগুলি ৫,৬০০ টিরও বেশি সফল ডাইভ করেছে,”৷ ২৭,৬০০ ঘন্টার বেশি ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে এবং এই মাছটি মাত্র নয়বার সম্মুখীন হয়েছে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে মন্টেরি বেতে রৈচেল কারসনের নেতৃত্বে একটি অভিযানের সময় এই বুরেলি মাছটি দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু এটি প্রথম ১৯৩৯ সালে আবিষ্কৃত হয়। এর শরীরের বাকি অংশ বেশিরভাগ কালো, মাথা স্বচ্ছ যাতে চোখ পরিষ্কার দেখা যায়। বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীদের মতে, এই মাছ তাদের চারপাশের কঠোর পরিবেশের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারে। এই মাছের চোখকে টিউবুলার চোখ বলা হয়, যা সাধারণত গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি একটি মাল্টি-লেয়ার রেটিনা এবং একটি বড় লেন্স নিয়ে গঠিত যা তাদের এক দিক থেকে সর্বাধিক আলো গ্রহণ করতে দেয়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল যে এই মাছের চোখগুলি স্থির, কিন্তু ২০১৯ সালে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই মাছের চোখ স্বচ্ছ যা মাথার মধ্যে ঘুরতে পারে।