উপরে নয়, মাটির নিচে বাড়ি বানালো এই যুবক, দেখতে ভীড় জমাচ্ছে মানুষজন

প্রত্যেক মানুষের একটা স্বপ্ন থাকে যে তার যেন নিজস্ব একটা বাড়ি থাকে। সাধারণত আমরা বাড়ি বলতে মাটির উপরে থাকা পাকা বাড়ি বা কাঁচা বাড়ি কেই বুঝি। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে যা সাধারণ মানুষকে অবাক করেছে। নাগাল্যান্ডের এক যুবক তার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করেছেন কিন্তু সেটি মাটির ওপরে নয় মাটির নিচে।

আমরা যেমন একসময় জে আর আর টলকিনের বইয়ে ছোট্ট হবিটস দের বাড়ি গুলি ছিল। সেরকমই আসাখা চেজ নামে এই যুবকটি ডিম্বাকৃতি দরজা ও জানালা যুক্ত বনের মাঝখানে এই বাড়িটি তৈরি করেছে। যা বর্তমানে নাগাল্যান্ডের নতুন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই যুবকটি ডিমাপুরের একটা স্কুলে বাচ্চাদের ফিটনেস ট্রেনিং করান।

করোনাকালে লকডাউন এর সময় তিনি তার বাড়ি আসেন। একদিন হঠাৎ ঘোরাঘুরি করার সময় তার এই অনন্য বাড়িটি বানানোর চিন্তা মাথায় আসে। তার এই বাড়িটি তার পৈত্রিক বাড়ি থেকে একটু দূরে অবস্থিত। এটি 10×14 ফুট দিয়ে তৈরি। বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দু মাস বাড়িটি তৈরি করার সময় তিনি নিজেও ভাবেননি যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

এই বাড়িটির তৈরির সময় গর্ত খোঁড়ার জন্য তিনি তার বন্ধু সহ গ্রামের কিছু মানুষের সাহায্য নিয়েছিলেন। এই বাড়িটির ভেতরের ও বাইরের দিকে কাঠ নির্মিত দেওয়াল রয়েছে। বাড়িটির সামনে অ্যালডার দিয়ে তৈরি কাঠ ব্যাবহৃত হয়েছে। বাড়ির ভেতরে একটা ছোট রান্নাঘর, পশ্চিমী ধাঁচে তৈরি বাথরুম এবং বিদ্যুতের ও জলের সুবিধা রয়েছে।

বাড়ির সামনে একটা ছোট্ট বাগান তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তার মা ও বোন লঙ্কা, টমেটো, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি চাষ করেছেন। তিনি এক প্রতিবেদনে বলেছেন যে তাদের বাড়িতে কোন ডাস্টবিন নেই এবং তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধাও নেই। যদি কেউ সেখানে থাকতে চান তাহলে তাকে নিজের বিছানা ও লাগেজ আনতে হবে।

শুধুমাত্র রান্নার জন্য কিছু জিনিস আছে যাতে তারা নিজেদের খাবার রান্না করে খেতে পারেন। বাড়িটি যেমন প্রকৃতির মাঝে গড়ে ওঠা কোন বিলাসবহুল হোটেল নয়, তেমনি তার থেকে কিছু কম নয়। মানুষ যদি চায় তার ছুটির দিনে অবসর সময়ে অবশ্যই এখানে সময় কাটাতে পারেন।