শিম্পাঞ্জির প্রেমে পাগল মহিলা, আজব প্রেম দেখে অবাক নেটদুনিয়া

ভালোবাসা অন্ধ সেটাতো কমবেশি সবারই জানেন। কিন্তু মানুষ ভালোবেসে এমন এক প্রান্তে পৌঁছে যায় যেখানে তাঁর বোধগম্য তাই হারিয়ে যায়। সেখানে সে একজন প্রাণীর সঙ্গে ভালবাসতেও দ্বিধাবোধ করেন না। হ্যাঁ পোষ্য প্রাণীদের ভালোবাসা যায়, কিন্তু এ কোনো পোষ্য প্রাণী নয়, চিড়িয়াখানার একটি শিম্পাঞ্জি প্রেমে পড়ে গেছেন এক মহিলা।

শিম্পাঞ্জি প্রতিদিন বান্ধবির আগমনের অপেক্ষায় থাকে:

এরমি এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে বেলজিয়ামে। সেখানের অ্যান্টওয়ার্প চিড়িয়াখানায়, একজন মহিলা একজন ৩৮ বছর বয়সী শিম্পাঞ্জির প্রেমে পড়ে। মহিলাটির নাম এডি টিমারম্যান। তিনি গত ৪ বছর ধরে প্রতিদিনই চিড়িয়াখানায় যেতেন। সেখানে গিয়ে ওই শিম্পাঞ্জির সঙ্গে দেখা করতেন। এ সময় দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। শিম্পাঞ্জিও মহিলাটি আসার জন্য অপেক্ষা করতো।

শিম্পাজি সবাইকে ছেড়ে বান্ধবীর কাছে যায়:

শিম্পাঞ্জির প্রতি ভালোবাসা তাঁর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ওই মহিলা যখনি আসতো তখনই শিম্পাঞ্জি তার সঙ্গীদের ছেড়ে খাঁচার সামনে এসে দাঁড়াত। এরপর একে অপরকে ঘন্টার পর ঘন্টা ফ্লাইং কিস দিত। কিন্তু এই অযাচিত ভালোবাসা দু’জনকেই ক্ষতি করছিল। এরপর চিড়িয়াখানার কর্মীরা মহিলাটিকে আসতে বাধা দেয়। এতে ওই মহিলা খুবই ক্ষুব্ধ হন। পুরো বিষয়টি তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন। আসলে চিড়িয়াখানার কর্মীরা শিম্পাঞ্জির উন্নতির জন্য এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে মহিলার মতে, শিম্পাঞ্জি প্রতি তার গভীর প্রেম এবং ভালোবাসা এখন প্রেমিক-প্রেমিকার মতোই হয়ে গিয়েছে। তার এটাও দাবি শিম্পাঞ্জিও, তাকে খুব ভালবাসে। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীরা এখন ওই মহিলাকে শিম্পাঞ্জির সাথে দেখা করতে দিচ্ছে না। চিড়িয়াখানার তরফ থেকে এরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যান্য শিম্পাঞ্জির সাথে ওই শিম্পাঞ্জির কাঁপানো চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে সে তার প্রিয় ভদ্রমহিলাকে ভুলে যেতে পারে।