২ বছরের বাচ্চার গলায় আটকে গেছিল বাদামের খোসা, ৩-৪ দিন পর হলো এমন অবস্থা

শিশুরা ফুলের মতো পবিত্র, স্নেহ-ভালবাসায় আগলে রাখতে হয় তাদের। শৈশবে খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য ব্যাপারে খুব যত্ন নিতে হয় শিশুদের। সামান্য ভুলের কারণে শিশুদের জীবনও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। ‘ফরিদাবাদে’ এমন একটা বিষয় দেখা গেছে, যেখানে সামান্য ভুলের কারণেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দুই বছরের এক শিশুর জীবন।

প্রকৃতপক্ষে, ফরিদাবাদের ‘সিমস’ হাসপাতালে একটি ঘটনা ঘটেছিলো, যেখানে একটি চিনাবাদামের খোসা আটকে গিয়েছিল দুই বছরের শিশুর শ্বাসযন্ত্রের নালীতে। অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। যেখানে চিকিৎসকরা কঠোর পরিশ্রমের পর শিশুটির শ্বাসনালী থেকে চিনাবাদামের খোসা বের করতে সক্ষম হন।

‘পেন্দ্রা’ এলাকার ‘ধনি’ গ্রামে বসবাসকারী দুই বছরের শিশু “গোপাল সিং”একটানা কাশির যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছিলো। তার বাবা-মা অনেক জায়গায় গোপালের চিকিৎসা করিয়েছেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পরে গোপালের প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পরিবারের লোকজন শিশুটিকে ‘সিমস’ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।

এরপর চিকিৎসকরাও শিশুটির এক্স-রে ও বুকের স্ক্যান করলেও কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, ১০ মে চিকিৎসকরা শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপ করলে দেখা যায়, শিশুটির শ্বাস নালিতে আটকে আছে একটি চিনাবাদামের খোঁসা (দানা)। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসার পর শিশুটির গলা থেকে চিনাবাদামের খোসা বের করেছিলেন চিকিৎসকরা।

এই পরিস্থিতিতে শিশুটির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তার শ্বাস নালী ফুলে যায় এবং ফুসফুসেও সমস্যা শুরু হয়েছিল। তবে চিকিৎসা শেষে শিশুটির অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা শুধু শিশুর অভিভাবকদের নয়, সাধারণ মানুষকেও পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত খাবার ও পানীয়ের ব্যাপারে।