মশলার ব্যাবসা শুরু করে পাল্টেছে ভাগ্য, দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে আজ লাখ লাখ টাকা আয় করছেন এই মহিলা

আজ সমাজে নারীরা আসতে আসতে অনেক এগিয়ে এসছে। তারা বর্তমান সময়ে অনেক রকম কাজ করে প্রমান করে দিচ্ছে যে তারাও কিছু কম নয়। সেই কারনে নারীদের কর্মসংস্থানের অনেক মাধ্যমও রয়েছে। অথচ অনেক নারীই তা জানেন না। সেই সাথে এমন কিছু নারী আছেন যারা নিজেরা জীবনে কিছু করতে চান কিন্তু পরিবারের সমর্থন পান না।

আজ এমনই এক মহিলার সম্পর্কে বলা হবে যিনি নিজেকে একজন গৃহিণী থেকে একজন সফল ব্যবসায়ী নারীতে পরিণত করেছেন। হরিয়ানার যমুনানগরের কানজানু গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলার নাম পূজা। তিনি সর্বদা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন এবং তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।

প্রথমে তিনি কোনও উপায় খুঁজে পাননি। তারপরে হরিয়ানা রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন সম্পর্কে জানার পরে, তিনি নিজেকে স্বনির্ভর করার সিদ্ধান্ত নেন।

এভাবেই এসেছে স্বাবলম্বী হওয়ার ভাবনা

দৈনিক জাগরণ জানিয়েছে, পূজা মাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আজ থেকে কয়েক বছর আগে, পুজোর কোনও কাজ ছিল না এবং তিনি বেকার ছিলেন। তবে আজ তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। পূজার মতে, তার গ্রামে বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীও রয়েছে।

অন্যদিকে, পুজার গ্রামে হরিয়ানা রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের একটি সভার আয়োজন করা হয়। এখানে নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। একই সাথে, গ্রামের মহিলাদের কাছে সেই সমস্ত মহিলাদের সম্পর্কেও বলা হয়েছিল যারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন।

এর পরে পূজাও এই কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং তিনিও নিজের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। পূজা ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু এই যাত্রা তার জন্যও সহজ ছিল না। নিজের ব্যবসা শুরু করার মতো টাকাও পুজার কাছে ছিল না।

এমন পরিস্থিতিতে এই মিশনের অধীনে পূজাকেও সাহায্য করা হয়। এই মিশনের আওতায় তাকে এক লাখ টাকা দিয়ে সাহায্যও করা হয়। আজ পূজা মশলার ব্যবসা করে, যেখান থেকে তার ভালো আয়ও হচ্ছে।

মহামারী আসার পর তার কাজে খারাপ প্রভাব পড়লেও এখন ধীরে ধীরে তার কাজ আবার গতি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশেষ বিষয় হল আজ পুজা আরও অনেক মহিলাকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে।