জন্মদিনে মেয়েকে চাঁদের জমি কিনে গিফট দিলো মা বাবা, বহু প্রজন্ম পর বংশে এসেছে মেয়ে

আমাদের দেশে যেখানে এখনও ভ্রূণ হত্যার মতো বেআইনি কাজ দেখা যায়, সেখানে কিছু পরিবার এমনও আছে যারা কন্যা সন্তান জন্মানোর পর এক বিরল চিত্র স্থাপন করেছেন। এরকমই একটি পরিবার হচ্ছে বিহারের মধুবনী জেলার ঝাঁঝাড়পুরের বাসিন্দা। এই দম্পতির নাম হচ্ছে ডক্টর সুরবিন্দর কুমার ঝা এবং ডক্টর সুধা ঝা।

তারা হচ্ছেন পেশায় কার্ডিয়লজিস্ট। তারা তাদের মেয়েকে তার দশম জন্মদিনে চাঁদে এক একর জমি উপহার দিয়েছেন। তারা বলেছেন বহু প্রজন্মের পড়ে তাদের ঘর আলো করে একটা কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে যার মুখ ছিল একদম চাঁদের মতো। তাই তার জন্মদিনে চাঁদের থেকে ভালো উপহার আর কি উপহার হতে পারে।

ঝা বলেছেন 2016 সালে গুজরাটের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা চাঁদে জমি কেনার ব্যাপারটি জানতে পেরেছিলেন। এই ব্যাবসায়ী তার 6 বছরের মেয়ে নভ্যার জন্য চাঁদে জমি কিনেছেন। চাঁদের সর্বকনিষ্ঠ নাগরিক হয়েছেন এই নভ্যা। তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তারা জমি কেনার কথা ভেবেছেন। তিনি বলেছেন এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি করতে তাদের তাদের দেড় বছর সময় লেগেছিলো।

কঠোর পরিশ্রমের পর আমেরিকা লুনা সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল 2022 সমস্ত নথিপত্র তাদেরকে পাঠিয়েছিলো। তার এবং তার মেয়ের প্রথমে পাসপোর্ট তৈরি করে যাচাই করার পর তারা দূতাবাসে যোগাযোগ করেছিলেন। অবশেষে তারা আমেরিকা লুনা স্যাটেলাইট ইন্টারন্যাশনালে মেইল পাঠান এবং তারপর কনফার্মেশন মেইল আসে।

চাঁদে স্থিত 23°34’8″ দক্ষিণ অক্ষাংশ × 7°57’50” পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে মেঘের সাগরে তাদের মেয়ের নাম উল্লেখ ছিল। সমস্ত ডকুমেন্টগুলি এরপর পার্সলে আসে এবং সেখানে তাদের মেয়ের স্বাক্ষর করানোর পর তারা সেটিকে ফ্যাক্স করে। তারা আরও জানিয়েছেন যে 2022 সালের 25 শে ফেব্রুয়ারি তারা কাটরায় মাতারানি দরবারে তাদের মেয়ের হাতে সমস্ত নথি গুলো তুলে দেন।

আমেরিকা থেকে আসা নথিত চাঁদে যাওয়ার একটা বিমানের টিকিট ছিল এবং তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া গিফটের একটা বিশেষ পোস্টকার্ডও ছিলো। তারা বলেন যে ছেলে-মেয়ে উভয়েই বংশবিস্তার করে। তারা এটাও আশা করেন তাদের এই কর্মসূচি থেকে আরও সমাজের মা-বাবারা অনুপ্রেরিত হবেন এবং ছেলেমেয়ে উভয়কেই সমান চোখে দেখবেন।