বাঁদরের নামে স্বামী-স্ত্রী বানিয়েছেন মন্দির, কারণ জেনে আপনিও হয়ে পড়বেন ইমোশনাল

উত্তরপ্রদেশের এক দম্পতি একটি বানর দত্তক নিয়ে বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। উত্তরপ্রদেশের ওই দম্পতি সাবিস্তা এবং ব্রিজিশ বাবুর ধর্ম আলাদা হলেও, তাঁরা ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। ব্রিজিশবাবু হিন্দু এবং সাবিস্তা মুসলিম পরিবারের কন্যা হয়েও তাঁদের ভালোবাসার কোনো ফাঁক থাকেনি। কিন্তু দুজনের পরিবারের তা মেনে নেয়নি। দীর্ঘ কিছু বছর তাঁদের সন্তান না হওয়ার জন্য তাঁরা ২০০৪ সালে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময় একজন মাদারের কাছ থেকে একটি ছোট বানর কিনে নিয়ে এসেছিল তাঁরা।

সাবিস্তা তাঁকে ছেলের মতো দেখাশুনা করতে থাকে। তাঁর নাম দেওয়া হয়ে থাকে চুনমুন। চুনমুন বাড়িতে আসার আগে ব্রিজিশ এবং সাবিস্তা অনেক আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু চুনমুন তাঁদের জীবনে আসার পর তাঁদের জীবনটাই বদলে যায়। তাঁদের জীবনে অনেক উন্নতি হয়। এরপর একদিন তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি চুনমুনের নামে করে দেয় তাঁরা।

সাবিস্তা জানান, অনেকেই তাঁকে পাগল মনে করত। কারণ সে চুনমুনকে সন্তানের মত মানুষ করতো। কিন্তু চুনমুন তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র তিনি এবং তাঁর স্বামী জানে। ২০১০ সালে তিনি চুনমুনের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের শহরের বাসিন্দা অশোক যাদবের বানর বিত্তির সাথে। তারপর চুনমুনের নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করে পশু সেবা শুরু করেন ওই দম্পতি।

তবে ২০১৭ সালের চুনমুন মারা যায়। চুনমুন মারা যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী বানর বিত্তি একা হয়ে যায়। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আরেকটি বানর নিয়ে আসা হয়। তাঁর নাম দেওয়া হয় লালসা। তবে ২০২১ সালে বিত্তিও মারা যায়। এখন বাড়িতে লালসা রয়েছে। চুনমুন মারা যাওয়ার পর ওই দম্পতি তাঁদের বাড়িতে চুনমুনের নামে একটি মন্দির তৈরি করেন। এখন মন্দিরে রাম সীতার মূর্তি সাথে চুনমুনের মূর্তিও রয়েছে। এখন তিনি তাঁদের সম্পত্তি চুনমুনের নামে একটি ট্রাস্টে জমা দিয়েছে। সমস্ত সম্পত্তি ব্যবহার করা হবে পশু সেবায়। এই দম্পতি সমস্ত মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে, কিভাবে অবলা প্রাণীদের ভালোবাসা উচিত।